নিউজিল্যান্ডের ক্রাইচচার্চে দুটি মসজিদে নামাজরত মুসলমানদের উপর উগ্র খ্রিস্টান শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দায় মুখর ছিল সারা বিশ্ব। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমগ্র নিউজিল্যান্ডবাসী সর্বোচ্চ মানবতা এবং মুসলমানদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে বিশ্ব ব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন। বিশ্ব নেতারাও আলাদা আলাদা করে সবাই এ ঘটনায় মুসলমানদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন এবং সন্ত্রাসবাদী হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে অনেকটাই ব্যতিক্রম দেখা গেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
তারা উভয়েই অনেকটা দায়সারা প্রতিবাদ জানালেও তাদের প্রতিবাদ জানানোর ধরণ এবং তাদের মানসিকতা যেন একই ভাবে ফুটে উঠেছে। ট্রাম্প যেমন তার নিন্দা জানানোর ভাষা নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন তেমনি ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সমর্থণ করা নরেন্দ্র মোদিও তেমনি তার প্রতিবাদ জানানোর ভাষায় সমালোচিত হয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে পাঠানো সে নিন্দার বিবৃতিতে দেখা গেছে সেখানে ‘মুসলমান' বা ‘মসজিদ' শব্দগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। হামলায় নিহত ৫০ জনের প্রতিও কোন সহমর্মিতা প্রকাশ না করে কেবলমাত্র হামলার নিন্দা জানানো পর্যন্তই সিমাবদ্ধ ছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার নিন্দা জানিয়ে দেয়া বিবৃতি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। কারণ তিনি তার নিন্দায় এ হামলাকে টেররিষ্ট হামলা বা উগ্রবাদী হামলা বলে আখ্যা না দিয়ে বন্দুকধারীর হামলা বলেছিলেন।