
শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা: আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে এগারোটায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে আবু বক্কর বলেন, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার মাথভাঙ্গা মৌজায় আর, এস ৪৫৮ নং খতিয়ানের ২৬১ নং দাগের ০.৭৬ একর জমি ইং ০৪/০৭/৮৮ তারিখ ১৭২৬ নং কবলা দলিলে সুরেশ চন্দ্র দাশের কাছ থেকে ক্রয়সুত্রে সে মালিক। যা আমাদের নিজনামে রেকর্ড করিয়ে, সরকারি কর-জাজনা পরিশোধপূর্বক ভোগদখলকার আছি।
উল্লেখ্য এস,এ, ২৭২ এবং ১৯১ খতিয়ানভূক্ত দাগের জমি পরিবর্তিত হয়ে আর,এস ৪৫৮ নং খতিয়ানে ২৬৮৭, ২৬১২, ২৫৪৬, ২৫৪৮, ২৫৫১ ও ২৬১ নং দাগে সর্বমোট ১০.৪১ একর জমি সুরেশচন্দ্র দাশ, তুলসিরাম বিশ্বাস, বাসুদেব বিশ্বাস ও প্রেমদাশ বিশ্বাস- এর নামে বাংলাদেশ ভূমি জরিপ অনুসারে চুড়ান্ত ভাবে ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান বি,আর,এস রেকর্ড প্রকাশিত হবার পর (মাথাভাঙ্গা মৌজা ১৯৯১ সালে প্রকাশিত) থেকে ভূমির রেকর্ডিয় মালিক ছাড়া অন্য কেউ খতিয়ানভূক্ত কোনো দাগের জমি বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে পারেনা। অথচ জালিয়াতি চক্রের হোতা ভূমিদস্যু সামসুর রহমান, পিতা মুন্সি রুস্তম আলী, সাং লবনচরা, পোস্ট শিপাইয়ার্ড, থানা লবনচরা, জেলা খুলনা, কাজী আররিফ আহমেদ ও মহসিন জমাদ্দারসহ আরো কয়েকজন দুর্নীতির মাধ্যমে, জাল জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি করে নিজেদের ৪৫৮ খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিক সেজে আমার রেকর্ডিয় এবং ভোগ দখলকৃত ২৬১ নং দাগের জমি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পিতা সামসুর রহমান, মোঃ সৈয়দ আলী মোড়ল পিতা মুনছুর আলী মোড়ল, আবুল হোসেন পিতা সোলায়মান, রনজিৎ কুমার দাস ও দলিললেখক তুষার কান্তি দাসের যোগসাজশে বিগত ইং ২৭/০১/২০০৪ তারিখে ২৮৯ নং কবলা দলিলে এস এম বেলায়েত হোসেন এবং ইং ১২/০২/২০০৫ তারিখে ৪৫৮ নং কবলা দলিলে মোঃ মানিক হাওলাদার পিতা আলতাফ হাওলাদারের কাছে হস্তান্তর করে বলে দেখা যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এ পর্যন্ত এই জালিয়াতি চক্র প্রায় ২৫/৩০ দলিল রেজিট্রি করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেসব কাগজপত্র সৃজন করে তারা এইসব সম্পাদিত দলিলে রেকর্ডিয় মালিকের নাম, বয়ান, জমির তপশিল, দাগে জমির পরিমাণ ইত্যাদি লিখেছেন তা একান্ত মনগড়া ও কাল্পনিক। সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে একাধিক তদন্তে সেসব কাগজপত্রের কোনো কপি সরকারি দপ্তরের নথিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভুলভাল হলেও সেসব কাগজপত্র এতটাই আসলে কাছাকাছি যে, তা দেখে সাধারণ মানুষতো বটেই, বটিয়াঘাটা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সাবরেজিস্টারও প্রতারিত হয়েছেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছে আবেদন ও প্রতিকার জানিয়ে বলেন,
এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে যদি সংখ্যালঘুদের নামে রেকর্ডিয় পৈত্রিক সম্পত্তি ভূমিদস্যুরা বিক্রি করে দিতে থাকে তবে তারা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবে? মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন স্বঘোষিত রাজাকার (মামলা চলমান), দূর্নীতিবাজ (মামলা চলমান), জালিয়াতকে (মামলা চলমান) প্রতিরোধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ব্যর্থ হলে সমাজের অস্থিরতা বেড়েই চলবে বলে মনে করি। তিনি বলেন, ১) এরা কী ভূমিকর্মকর্তাদের চেয়ে দক্ষ? ২) এরা কী অপ্রতিরোধ্য? ৩) এরা কী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চেয়েও শক্তিশালী? ৪) সমাজকে সচেতন এবং এদেরকে প্রতিহত করতে মাননীয় সাংসদ মহোদয় কি কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না? ৫) সাধারণ মানুষ কি এদের কাছে প্রতারিত হতেই থাকবে? ৬) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিরাপদ ডিজিটাল ভূমিব্যবস্থাপনা এদের কাছে কি অসহায় হয়ে পড়বে?
৭) এরা কি আইনের উর্দ্ধে?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক বাসুদেব বিশ্বাস, আবু বক্কার সেখ, মোঃ রহমাতুল্লাহ উল্লাহসহ রেকর্ডকৃত জমির মালিকগন