নিউজিল্যান্ডের ক্রাইসচার্চে নামাজরত মুসুল্লিদের উপর উগ্র শ্বেতাঙ্গবাদী খৃস্টান সন্ত্রাসীর ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত ৫০ জনের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি ও ৯ জন পাকিস্তানী বলে নিশ্চিত করে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভয়াবহ ঐ সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা ৫ জনে দাড়িয়েছে। তারা হলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতির সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, সিলেটের ফরিদ আহমেদের স্ত্রী হুসনে আরা আহমেদ, নারায়ণগঞ্জের ওমর ফারুক, চাঁদপুরের মোজাম্মেল হক ও নরসিংদীর জাকারিয়া ভূঁইয়া। নিহত বাংলাদেশি ৫ জনের দুজনকে নিউজিল্যান্ডে এবং তিনজনকে বাংলাদেশে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও আহত লোকজনের মধ্যে কিশোরগঞ্জের মাসুদের স্ত্রী লিপির অবস্থা গুরুতর। তাঁর আরেকটি অস্ত্রোপচারের দরকার হতে পারে। গাজীপুরের মোতাসসিম ও শেখ হাসান রুবেল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁরা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
ভয়াবহ সে হামলায় অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়রা। তারা সেই মসজিদেই নামাজ পড়ার কথা ছিল কিন্তু মসজিদে যেতে দেরি হওয়ায় এ হত্যাকান্ড থেকে বেঁচে যান তারা।
গত শুক্রবার সংঘটিত ওই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাকিস্তানেরও নয়জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পাক পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ড. মুহাম্মাদ ফয়সাল টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান। এর মধ্যে নাঈম রাশিদ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিক হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য বীরের মর্যাদা পেয়েছেন।
নাঈম রাশিদ হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে গিয়ে নিজে আহত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হত্যাকাণ্ডে তার ছেলে তালহা নাঈমও মারা গেছেন। তাদের দুজনকেই ক্রাইস্টচার্চে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ড. ফয়সাল। এজন্য নিউজিল্যান্ডের মুসলিম এসোসিয়েশন এবং শহরের পাকিস্তানি কমিউনিটি দাফন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়া, বাকি চার নাগরিকের লাশ দেশে আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে কাজ করছে পাকিস্তান মিশন। এদিকে, পাক পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরেক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, এর আগে নিখোঁজ তিন পাকিস্তানের মৃত্যুও নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- জিশান রাজা, তাঁর বাবা গোলাম হুসাইন ও মা কারাম বিবি।
#HRR