নিউজিল্যান্ডে উগ্র খৃস্টান সন্ত্রাসী কর্তৃক মসজিদে পরিকল্পিত হামলায় নামাজরত ৪৯ জন মুসলমানের শহীদ হওয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন তৈরি হচ্ছে। উগ্রবাদী খ্রিস্টানদের আচরণকে সমর্থন না জানিয়ে সাধারণ অনেক খ্রিস্টানরা মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে।
মর্মান্তিক এ ঘটনার পর ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারের এক খ্রিস্টান নাগরিক মুসলমানদের জন্য এক বার্তায় লিখেছেন, 'তোমরা আমার বন্ধু, নামাজ পড়ো আমি তোমাদের পাহারা দেবো। এন্ড্রু গ্রেস্টন নামের এই ব্যক্তি একটি প্ল্যাকার্ডে এই বার্তা লিখেছেন।
তিনি লন্ডনের একটি পত্রিকায় বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন পীড়াদায়ক মর্মান্তিক হামলার খবর শুনে আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে। তাই আমি মুসলমান বন্ধুদের জন্য সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। দিনটি শুক্রবার ব্রিটেনে মুসলমানরা এই দিনে সবাই মসজিদে নামাজ পড়তে যাবে। কোন সময় কোথায় কি হয় জানা মুশকিল। যখন তারা নামাজ পড়বে আমি তাদের পাহারা দেব।
৫৭ বছর বয়সী এন্ড্রু গ্রেস্টনের এই বার্তাটি ব্রিটেনে মুসলমানদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। অনেকেই তার প্রশংসা করছে। তবে নিউজিল্যান্ডে হামলার বিষয়ে সবাই জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং হামলাকারীর বিচার দাবি করছেন।
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে উগ্র এক খৃস্টান সন্ত্রাসীর হামলায় ৪৯ জন নামাজরত মুসুল্লি শহীদ হয়েছেন। নূর মসজিদে হামলাকারীদের একজন অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত খ্রিস্টান সন্ত্রাসী। তার নাম ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। ২৮ বছর বয়সী এই হামলাকারী উগ্র শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের মৌলবাদী ও উগ্র খৃস্টিয় সন্ত্রাসবাদী মানসিকতার লোক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের পর আদালতেও তিনি একজন উগ্র সন্ত্রাসীর মনোভাব প্রকাশ করেছে।