
পাবলিক ভয়েস: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বাতিল করে ভাতা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। আজ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সভা কক্ষে এ সম্মেলন করেন তারা।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, দেশ স্বাধীনের পর সোনারগাঁয়ে ২৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি গেজেটভুক্ত করা হয়। কিন্তু পরবর্তিতে যারা সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে তারা অর্থের বিনিময়ে ভুয়া লোকজনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৫১৯ জন। মুক্তিযোদ্ধাদের এই তালিকা ভুয়া। কোথায় থেকে এলো ৫১৯ জন মুক্তিযোদ্ধা?।
তিনি আরও বলেন, এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর টেলিফোন অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সহযোগিতায় ওই ফাইলটি গায়েব করে দেন।
মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির আরও বলেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি যুদ্ধকালীন কোনো গ্রুপের কমান্ডার ছিলেন না। কিন্তু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় স্তম্ভের ফলকে তার নামের শেষে গ্রুপ কমান্ডার লেখা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন ২নং সেক্টরের গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান।
তিনি আরও বলেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি স্বাধীনতাবিরোধী ও চিহ্নিত রাজাকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। তিনি উপজেলার বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে টাকা এনে আত্মসাৎ করেছেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বন্ধ করতে হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে হেয় করার জন্যই একটি মহল মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রথম কমান্ডার ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ মোল্লা বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, আলতাফ হোসেন, শফিকুর রহমান, সৈয়দ হোসেন ও মফিজ মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধারা।