
পাবলিক ভয়েস: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা মিডনাইট ভোটের আসল সত্যটি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্যান্ডোরার বাক্স থেকে এখন আসল ঘটনাগুলো বের হতে শুরু করেছে। থলের বিড়ালকে আর বেশিদিন আটকে রাখতে পারলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। আসলে সত্যকে ঢেকে রাখলেও তাতে লাভ হয় না। সত্য কুহেলিকার আচ্ছাদন ভেদ করে বের হবেই। ইভিএম চালু হলে নাকি ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির ঝুঁকি কমবে-এমন কথা বলেছেন সিইসি।
তিনি বলেন, জনগণের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কমিশনে ইভিএম মেশিন প্রকল্প অপরিহার্যতা প্রতিপাদন করার জন্যই কি সিইসি ২৯ ডিসেম্বর রাতে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন? একটি প্রকল্পের যথার্থতা প্রমাণের জন্যই আপনি কি সারাদেশের ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিলেন? আপনার ব্রেইন চাইল্ড প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের আমানতকে আপনি কেড়ে নিলেন।
আজ আপনার এবং আপনার সহচরদের মুখ দিয়েই আসল সত্যটি প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। অথচ আপনি ৩০ ডিসেম্বরের রাত থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের ঝুড়ি ঝুড়ি গালগল্প শুনিয়েছেন মানুষকে। মিডনাইট নির্বাচনের হোতা আপনি। আদর্শগত শুন্যতার কারণে আপনি এতবড় অন্যায়টি করেছেন জনগণের বিরুদ্ধে।
গত পরশু দিন ঢাকা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সাত দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন নজিরবিহীন। ব্যাপকভাবে জালভোট প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে সাত দিনের ব্যবধান করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিএনপি প্যানেলের কমিশনার, যে ভোট গণনার দায়িত্বে থাকে, তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে একজন কট্টর আওয়ামীপন্থী আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদলকে। নানাভাবে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা জেলা বার সমিতির নির্বাচন। সরকার এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনেও মিডনাইট ভোটের পদ্ধতি অবলম্বন করছে।