পাবলিক ভয়েস: গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
আজ সোমবার (৪ মার্চ) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদারের রাজনৈতিক এই প্রতিপক্ষ একথা জানান।
এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে চাননি। দলের পক্ষ থেকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে দেয়া কর্মসূচি ঘোষণা করার সময় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ওই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে বিএনপি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা প্রতিদিন নানাভাবে আহ্বান এবং দাবি করে আসছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দমতো বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। তাকে জামিনে মুক্তি দিন। তাকে জেলে নেয়ার পর থেকে তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ। দেশবাসী জানেন, তিনি হাঁটতে পারছেন না। পা ফুলে গেছে। হাত অবশ।
পুরনো রোগগুলো বেড়ে গেছে। চোখেও প্রচণ্ড ব্যথা। নির্যাতন সহ্য করতে গিয়ে তার আগের অসুস্থতা এখন আরও গুরুতর রূপ ধারণ করেছে। সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলোসিসের জন্য কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা, হিপ-জয়েন্টেও ব্যথার মাত্রা প্রচণ্ড। ঝুঁকিপূর্ণ শরীর। প্রতি মুহূর্তে আমরা তাকে নিয়ে আশঙ্কায় থাকি।
রিজভী বলেন, ২৯ ডিসেম্বর মিডনাইট নির্বাচনের পর বাংলাদেশের দিকে সারাবিশ্বের নজর কাড়ছে এখন একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবিশ্বাস্য উত্থানে। ভোট ডাকতির নির্বাচনে তথাকথিত নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও মাঝে মাঝে গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথা বলে ফেলেন। তাদের মধ্যে মহাজোটের শরিক কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলছেন ‘নির্বাচনী ব্যবস্থাকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে এখন গণতান্ত্রিক কোনো স্পেস নেই, গণতান্ত্রিক স্পেস তৈরি করতে হবে।