জবি প্রতিনিধি :  ‘দুর্ঘটনা দুর্যোগে, সবার আগে-সবার পাশে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জ‌বি‌) ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতামূলক’ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এম.পি বলেন, ‘ধীরে ধীরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে নিজেদের অবস্থান গড়ে তুলেছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানা ধরনের দুর্ঘটনার ঘটে থাকে। আর এই সমস্যাগুলো অতিক্রম করেই আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে হয় এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এসকল দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সরকার গুরুত্বের সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সেই সাথে জনসচেতনতা বৃদ্ধির করার লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে‌ছে। আশার বিষয় হলো বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অধ্যয়ন করানো হচ্ছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপ করছে। এ সকল শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতে দেশের দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

মহড়া‌টি রবিবার (৩ মার্চ ২০১৯) ‘বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’ এর বাস্তবায়নে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনামূলক’ মহড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও ভাষা শহীদ রফিক ভবন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহা-পরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপরারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান প্রমুখ।

এসময় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মহড়ায় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিলিভ ডিফেন্সের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক দল অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের ক্যাডেটবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। দুর্ঘটনা ঘটলে কিভাবে দ্রুত উদ্ধার কার্য সম্পন্ন করা যায়, বাস্তবে কিভাবে আগুন নেভানো হয় ও তার বিভিন্ন কলাকৌশল, ভূমিকম্পের সময় নিজেদের জানমাল রক্ষায় করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল, হতাহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে মহড়ায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।