
পাবলিক ভয়েস: নারায়নগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমার সামনে তো সবাই ভালো। কিন্তু অনেকেই হয়তো আমার নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক ব্যবসা করে। তাই তাদের স্পষ্ট বলছি সংশোধন হউন। নতুবা ছাড় হবে না। আমার বঙ্গ বন্ধু, কন্যার কোন বদনাম হয় তাহলে মনে রাখবেন শামীম ওসমানের হাত আপনার ঘাড়ে।
সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং থেকে বাঁচতে চায়। এসবের বিরুদ্ধে আজ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। এগুলো শুধু প্রশাসনের একার দায়িত্ব না। আমি, আপনি ও প্রশাসন মিলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক নিমূল করব।
আজ শনিবার নারায়নগঞ্জ শহরের দুই নং রেল গেটস্থ জেলা আ.লীগ কার্যালয় সংলগ্ন মিডটাউন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে আ.লীগ আয়োজিত সমাবেশে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে আমি ও আমরা ঋণী। আমি কখনো নেতা হই নাই, হতেও চাই না। আমি জনগণের আছি এবং ভবিষ্যতেও জনগণের থাকবো।’
তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করতে এসেছি। ধান্দা করতে আসি নাই। দিনের বেলায় আ.লীগ আর রাতে বিএনপি এমন রাজনীতি তো আমরা করতে চাই না।
শামীম ওসমান, ‘আমি মন্ত্রী কিংবা এমপির জন্য রাজনীতি করি না। দুইবার মন্ত্রীত্ব দিতে চেয়েছিল আমি নেই নাই। প্রধানমন্ত্রীর মত এত বড় মানুষের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হওয়ার যোগ্যতা আমার নাই। একজন কর্মী থাকতে চাই। তিনি বলেন, আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। শুধু আ.লীগ না বরং স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে নিয়ে কাজ করতে হবে।
শামীম ওসমান বলেন, ক্লাস থ্রি থেকে ফোরে উঠার সময়েই আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। তখন আমার বাবা একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় আমি শহরের গুলশান হলের সামনে এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বক্তব্য রেখেছিলাম। সেদিন বলেছিলাম, ‘ইয়াহিয়া যত পারো গুলি করো। তবুও আমরা দেশকে স্বাধীন করে ছাড়বো।’
তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর সেপ্টেম্বরে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে শহরের পোস্টার লাগাচ্ছিলাম। তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। তখন আমরা সাইকেল চালাতাম। ওই সময়ে আমাকে খানপুর হাসপাতালের সামনে রেখে পিঠে সাইকেল ভেঙে দেয়। তখনই বুঝেছিলাম এ পথ সহজ না। ক্ষমতায় থাকলে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে।
শামীম ওসমান বলেন, শহরের সমাবেশের কারণে অনেকের কষ্ট হয়েছে। কিন্তু তাদের কষ্ট হয় না যারা আ.লীগ করে, যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। কারণ এ রাজপথেই আ.লীগের জন্ম। সে কারণেই রাজপথেই আ.লীগের সমাবেশ হবে। তার পরেও আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই সমাবেশের কারণে কষ্টের জন্য।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আ.লীগের সভাপতি আবদুল হাই, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, মহানগর আ.লীগের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলার সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল, জেলা মহিলা আ.লীগের সভানেত্রী প্রফেসর শিরিন বেগম, মহানগর আ.লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সহ সভাপতি ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া, মহানগর আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আ.লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটারী শওকত আলী, মহানগর মহিলা আ.লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সেক্রেটারী মিজানুর রহমান সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সেক্রেটারী আশরাফুল আলম রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ।