
পাবলিক ভয়েস: বিএনপি-জামায়াত দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিধায় গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আ.লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আর জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে জনগণ বিএনপির দুই গালে চপেটাঘাত করেছে।
আজ শনিবার (২ মার্চ) ইউরোপিয়ান আ.লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। আ.লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণ তাদের (বিএনপি-জামায়াত) যে চপেটাঘাত করেছে সেই ব্যাথা এখনও যায়নি বলে তারা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
‘ড. কামাল হোসেন বলছেন তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবেন। যে বিএনপি গণতন্ত্র ছিনতাই করেছিলো সেই বিএনপিকে নিয়ে তিনি নাকি গণতন্ত্র উদ্ধার করবেন,’ বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব সময়ই উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়। এটি মাত্র এক বছর সময়ের জন্য উপনির্বাচন। তাছাড়া ওইদিন আবহাওয়া বিরূপ ছিলো। ভোটের দিন সাধারণ ছুটি মিলিয়ে তিন দিনের ছুটি ছিলো। সব মিলিয়ে ভোটারের যে উপস্থিতি ছিলো এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পৃথিবীর সব দেশের উপনির্বাচনের জন্য এই উপস্থিতি যথেষ্ঠ ছিলো।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন বলেছেন গত ৩০ ডিসেম্বরের আগে দেশের ক্ষমতা জনগণের হাতে ছিলো। আসলে তখন ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা, এখনও ক্ষমতায় আছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, এর মাধ্যমে এই সত্যটা ড. কামাল প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন।
মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী ইউরোপিয়ান আ.লীগের নেতাদেরকে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ.লীগের সরকার দেশে যে উন্নয়ন করেছে তা ইউরোপের দেশগুলোতে তুলে ধরার আহ্বান জানান।