ফরিদপুরে কৃষক সমাবেশে ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির বলেছেন, “সরকারের কৃষি নীতি ও কৃষকদের সাথে আচরণ কৃষি ও কৃষক বান্ধব না হয় দেশের কৃষি বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে”
তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান এবং দেশের ১ লাখ ৬৩ হাজারের অধিক কৃষকের নামে দায়ের করা ঋণ খেলাপী মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কৃষক ফসল উৎপাদন করে উৎপাদন খরচের কমে তা বিক্রয় করতে বাধ্য হওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে কৃষকের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। যার ফলে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তা পরিশোধে কৃষকরা ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষের খাদ্য শষ্যের চাহিদা পূরণ এবং প্রায় ৫০% মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখার পরেও সমস্যা সমাধান না করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নামে মামলা দেয়ার ঘটনা কোনভাবেই সমর্থ করা যায় না।
ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলন ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শৌলডুবী খালেক তালুকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলন ফরিদপুর জেলা কমিটির আহবায়ক মোঃ ইমরান হোসেন রাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলার সেক্রেটারী হাফেজ মিজানুর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা শাখার সভাপতি ইমরান নাজির ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: হামিদ মাষ্টার, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ্যাডভোকেট কে.এম সরোয়ার হোসেন, ইশা ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখা সভাপতি অলিউর রহমান প্রমূখ।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, বর্তমান সময়ে ৭০০ টাকা এক মন ধান উৎপাদন খরচ হলেও ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা মনে কৃষক ধান বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। পিয়াজ চাষে ১৮ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত ১৮ হাজার টাকার পিয়াজ ৮ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সরকারের কৃষিনীতি কৃষক বান্ধব নয়, ফাইল বান্ধব। তিনি কৃষককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলন ঘোষিত ১৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে সকল কৃষককে ঐক্যবদ্ধ হতে আহবান জানান।