
পাবলিক ভয়েস: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিত বেশি ছিলো। ২০০১ সালের নির্বাচনে ১০ শতাংশ লোক উপস্থিত ছিলো। তাহলে তুলনা করেন তখন কি হয়েছিল।
আজ শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ধানমন্ডিতে আ.লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি জোয়ার ভাটার মতো। আজ আমরা আছি কাল নাও থাকতে পারি। একটি রাজনৈতিক দল আজীবন ক্ষমতায় থাকবে এমন অহমবোধ থাকা উচিৎ নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যেভাবে একের পর এক নির্বাচন বয়কট শুরু করেছে তাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাওয়া মোটেও গণতান্ত্রিক পথ নয়। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছে। অংশ নেয়াদের বহিষ্কার করা হলেও মাঠের কর্মীরা থেমে নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সুবিধা বুঝে বিএনপি নির্বাচন করে। এর আগে তারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তখন চারটিতেই জিতেছিল। তাতে তো আকাশ ভেঙে পড়েনি।
তিনি বলেন, ভোটের দিন ছুটি থাকায় অনকেই বাড়ি গেছে, বড় একটি দল অংশ নেয়নি, দিনের শুরু থেকেই বৃষ্টি এছাড়া এটা একটা উপ নির্বাচন। সব মিলিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে ২০০১ সালে ১০ ভাগ ভোট নিয়ে সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার এত কিছুর পরেও তুলনামূলক উপস্থিতি অনেক বেশি।
বিএনপি অভিযোগ করেছে আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্লাস্টিক সার্জারি করে ফেলছে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তারা রাজনীতিতে ব্যর্থ। তাই এখন কথার চাতুরি ছাড়া আর তাদের কিছু বলার নেই।