
পাবলিক ভয়েস: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ১১ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করেছে তার বাবা। এ ঘটনায় বাবা হানিফ মিয়াকে (৩৫) আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। গণধোলাই শেষে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহিন শাহ পারভেজ বলেছেন, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নির্যাতিত শিশুর মা ও পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার সকালে শিশুটিকে বাড়িতে রেখে তার মা কাজে চলে যান। বিকেলে বাবা হানিফ মিয়া মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মা বাসায় ফিরলে পুরো ঘটনা খুলে বলে শিশুটি। এ সময় শিশুর মা বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানায়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বাবা হানিফকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম পাটোয়ারী বলেন, গতকাল সোমবার রাতে প্রথমে নির্যাতিত শিশুটিকে নগরীর খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ও পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার গুরুতর হওয়ায় রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহিন শাহ পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটির মা হাসপাতাল থেকে ফিরলেই মামলা হবে। বর্তমানে নির্যাতিত শিশুটির পাশেই রয়েছে তার মা। শিশুটির চিকিৎসা চলছে বলেও জানান ওসি মীর শাহিন শাহ।