পাবলিক ভয়েস: কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিন শুনানির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক জসিম উদ্দিন এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতে খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করেন।
ওইদিন পরে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিন শুনানির জন্য আগামী ১৪ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন এ বি সিদ্দিকী নামে একব্যক্তি।
অভিযোগে মামলার বাদী বলেন, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে খালেদা জিয়া রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইই,বি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
‘এ মময় তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আ.লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আ.লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আ.লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে, তাদের ওপর হামলা করেছে।’
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, খালেদা জিয়ার এ ধরনের বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণীগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস গতবছরের ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বা ঘৃণার ভাব সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। একই সঙ্গে নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত আনার অভিপ্রায়ে ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষাত্মকভাবে ধর্ম এবং ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করেছেন তিনি।
পরে এ মামলায় গতবছরের ২৩ জুলাই আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী এ বি সিদ্দিকী। ২০ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।