পাবলিক ভয়েস: বগুড়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনেই সদর উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাফতুন আহমেদ খান রুবেলের হাত থেকে মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও তার সমর্থকদের মারধর করেছে আ.লীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় গাবতলী উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেছে আ.লীগের নেতাকর্মীরা।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা মাফতুন আহমেদ খান রুবেল বলেন, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলামের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তার রুমের ভেতরে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগ মুহূর্তে আ.লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আমার হাত থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন আমার কর্মীরা বাধা দেয়।

এ সময় আ.লীগের নেতাকর্মীরা আমার কর্মীদের মারধর করে। এতে লাহিড়ীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদসহ পাঁচজন আহত হয়। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের আশেপাশে আ.লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে আমি ও আমার সমর্থকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিকেল ৫টার পর পুলিশি পাহারায় আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা ডিসি অফিস ত্যাগ করি।

খান রুবেল আরও বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হলে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। এভাবে নির্বাচন দেয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। এ ঘটনায় লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে কর্তব্যরত বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটু ঝামেলা তৈরি হয়েছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এর আগে দুপুর ২টায় গাবতলী উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা শাহেদুল ইসলামের মনোনয়নপত্র নির্বাচন অফিসের দোতলা থেকে ছিনতাই করা হয়েছে। তার মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলে আ.লীগের নেতাকর্মীরা। ফলে শেষদিন আর মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি শাহেদুল ইসলাম।

এসব বিষয়ে বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলাম বলেন, বাইরে একটু ঝামেরা হয়েছিল। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।