২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা থেকে প্রায় ১৬০০ এর কাছাকাছি অর্থাৎ ১৫৭৫ টি জামাত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাবলীগের দাওয়াত নিয়ে বের হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক জামাত বের হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা থেকে।
ইজতেমা মাঠ থেকে তাবলীগের জিম্মাদার মাও. আমানুল হক পাবলিক ভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা থেকে তাশকিলি কামরার তথ্য অনুসারে ১৫৭৫ টি জামাত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত নিয়ে ছুটে বেড়াবেন।
এ বছরের ইজতেমা থেকে বের হওয়া জামাতের বিশেষত্ব হলো, প্রত্যক জামাতেই আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণ রয়েছে যা মানুষকে দীন শেখার পথে সবচেয়ে উপকারি ফায়দা দেবে।
সংখ্যার দিক থেকে এটি একটু কম দেখালেও বর্তমান এই পরিস্থিতিতে এ সংখ্যা সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। আশা করা যায়, এই জামাতের মেহনতে সারাদেশে তাবলীগের কাজ আরো বেগবান হবে।
প্রসঙ্গত : আলমি শুরার তত্বাবধানে পরিচালিত বিশ্ব ইজতেমার আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি)। গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আছরের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার (আলমী শুরার তত্বাবধানে পরিচালিত অংশ) আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। সকালে ফজরের নামাজ বাদ আম বয়ানের পর ১০.০০ টার দিকে হয়েছে আখেরী মুনাজাত।
মুনাজাত পরিচালনা করেছেন দাওয়াত ও তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বি ও আলমি শুরার ১৩ জনের অন্যতম সদস্য হাফেজ মাও. জুবায়ের।
এছাড়াও আখেরী মুনাজাতে অংশ নিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন।
সরকারী বর্ণনা মতে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলেও বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু করা হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। অনাকাঙ্ক্ষিত ছোট দু-একটি ঘটনা ছাড়া সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয়েছে লাখো লাখো মুসলমানদের এই অন্যতম গণজমায়েতটি।
এবারে বিশ্ব ইজতেমার এই তিনদিনে বিদেশী প্রায় সাতশ মেহমানদের উপস্থিতি ছিলো। বিশ্ব ইজতেমা থেকে বিদেশী মেহমানদের জামাতও বের হয়েছে অনেক। সে তথ্য নিতে তাশকিলি কামরার কয়েকজনের কাছে ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।