পাবলিক ভয়েস: একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ জনের মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা হয়েছে গত ১২ ফেব্রুয়ারি। আগামীকাল শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। যেহেতু এসব প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, তাই আগামীকাল শনিবার বিকেলেই তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম জানিয়েছেন, কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার তালিকা ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল ১১ ফেব্রুয়ারি। ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি, ভোটগ্রহণ ৪ মার্চ। তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটগ্রহণ করা হবে না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আ.লীগ ২৫৮টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দুইটি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দুইটি আসন, জাতীয় পার্টি-জেপি একটি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন একটি আসন পেয়েছে। মহাজোট মোট আসন পেয়েছে ২৮৯টি।
অন্যদিকে বিএনপি ছয়টি ও গণফোরাম দুইটি আসন পেয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোট আটটি আসন পেয়েছে। আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিন প্রার্থী।
দল ও জোটের সংসদ সদস্য সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা আইনে বণ্টনের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী, আ.লীগ ৪৩টি আসন, ওয়ার্কার্স পার্টি এক, জাতীয় পার্টি চারটি ও স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী জোট একটি এবং বিএনপি জোট একটি আসন পেয়েছে।
বাংলাদেশ আ.লীগ থেকে যে ৪৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করে বৈধ হয়েছেন-ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সূবর্ণা মোস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তি চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোণা থেকে হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলী, নরসিংদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।
জাতীয় পার্টির চার নারী সদস্য হলেন-সালমা ইসলাম, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী।
ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রার্থী হচ্ছে সেলিনা ইসলাম।
আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা একটি আসন পেলেও শপথ না নেওয়ায় আপাতত সেই পদটি খালি থাকছে। তারা সংসদ অধিবেশন শুরুর নব্বই দিনের মধ্যে শপথ না নিলে নির্বাচন কমিশন সেসব আসনে পুনরায় নির্বাচন দেবে। এরপর নারী আসনের অবশিষ্ট একটি পদ পূরণ করা হবে।
৪৯ জনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। ২০১৪ সালের দশম সংসদেও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় সংসদের মোট সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি।