পাবলিক ভয়েস: আজ সুন্দরবন দিবস। ২০০১ সাল থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোতে বেসরকারিভাবে পালিত হয়ে আসছে দিনটি।
কিন্তু প্রকৃতি ও মানুষের নানা আগ্রাসনে হুমকি বাড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনের।
লবণাক্ততা, পলি পড়ার হার ও নদী ভাঙন বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারী নৌযান চলাচল ও দূষণ ক্ষতিগ্রস্থ করছে বনকে। বন বিভাগ বলছে, সুন্দরবন সুরক্ষায় সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলোতে বেড়েছে লবণাক্ততার পরিমাণ।
এতে মারা যাচ্ছে সুন্দরীসহ কম লবণ সহিষ্ণু গাছ ও মাছ। প্রভাব পড়ছে বণ্য প্রাণীর জীবনেও।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুন্দরবনে ১৯৮৯ সালে সুন্দরী গাছ ছিলো ১ লাখ ৬৭ হাজার হেক্টরে।

২০১৪ সালে তা এসে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৩ হাজার হেক্টর। এছাড়া নদী ভাঙনে কমেছে ১৪ হাজার হেক্টর বনভূমি। দীর্ঘদিন ধরে বনের ভেতর দিয়ে ভারী নৌযান চলাচল করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বনের জীববৈচিত্র।
এছাড়া, আইন অমান্য করে গড়ে উঠেছে ৪০টি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। আর চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। তবে বন বিভাগ বলছে, সুন্দরবন সুরক্ষায় সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
লবণাক্ততা কমাতে উজান থেকে মিষ্টি পানির প্রবাহ বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি। নয়নাভিরাম সুন্দরবনের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার।