তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা বিষয়ে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
আজ বেফাকের মজলিশে শুরার (কার্যকরী কমিটি) বৈঠকে বিশ্ব ইজতেমা বিষয়ে বেফাকের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের সাথে সাথে এ বছরের আলেমদের তত্বাবধানে বিশ্ব ইজতেমা ১৪, ১৫, ১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। সাথে সাথে তাবলীগের বিতর্কিত আমীর সা'দ কান্ধলভী কোনভাবেই বিশ্ব ইজতেমায় আসতে পারবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বেফাক নোতারা।
বেফাকের কার্যকরী কমিটির বৈঠক শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাবলীগ বিষয়ে বলা হয়েছে,
দাওয়াত ও তাবলীগ-এর মেহনত আমাদের আকাবীর ওলামায়ে কেরামের দীনি আমানত। এ আমানতের যথাযথ হেফাজত করা আমাদের দ্বীনি দায়িত্ব। উক্ত মেহনতের গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচী হচ্ছে টঙ্গি ময়দানের বিশ্ব ইজতেমা। ইতিমধ্যেই বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ১৪, ১৫ ও ১৬ই ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার) নির্ধারিত হয়েছে। বেফাক কর্তৃপক্ষও এই তারিখেই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে। নির্ধারিত সময়ে বিশ্ব ইজতেমায় সারা দেশের ওলামা, ছাত্র জনতা এবং তাবলীগের সাধারণ সাথীদের ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণের উদ্যত্ত আহ্বান জানানো হলো।
উক্ত সভায় কাদিয়ানীদের অপতৎপরতার বিষয়টিও পর্যালোচনায় আসে। পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের আহুত কাদিয়ানী ইজতেমা এটা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। ৯০% মুসলমানের দেশে ইসলামের নামে কাদিয়ানী মতবাদ চলতে পারে না। অতএব যে কোন মূল্যে কাদিয়ানী ইজতেমাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সাথে অনতিবিলম্বে এ কাদিয়ানী ইজতেমা বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বেফাকের উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামিদ, পীর সাহেব, মধুপুর, মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা যোবায়ের আহমাদ চৌধুরী, মুফতী নুরুল আমীন, মাওলানা মাহফুযূল হক, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুসলেহউদ্দীন রাজু, মুফতী নেয়ামতুল্লাহ, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আযহারী, মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আনোয়ার, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মুনিরুজ্জামান সাহেব, মাওলানা মসউদুল করীম, মাওলানা যোবায়ের আহমাদ আনসারী, মাওলানা রুহুল আমীন খান উজনবী, মাওলানা আব্দুল রব ইউসুফী, হযরত মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত : বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে তাবলীগের দুই পক্ষের বিবদমান পরিস্থিতিতে সরকারি হস্তক্ষেপে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল চার দিন অর্থাৎ ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি এই চার দিন বিশ্ব ইজতেমা হবে এবং চারদিনের মধ্যে উভয় পক্ষকে দুইদিন দুইদিন করে কর্তৃত্ব করতে দেয়া হবে কিন্তু সাধারণ তাবলীগি ও ওলামায়ে কেরামদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম পক্ষের ইজতেমা ১৪, ১৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি এই ৩ দিন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা এসেছিল। এবং বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশও এই তারিখ অনুমোদন দিয়েছেন এবং সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।