পাবলিক ভয়েস: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন নিয়ে বিরোধের জেরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আজ রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদিতমারী উপজেলা আ.লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কিছুক্ষণ লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
আহতদের মধ্যে আদিতমারীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক মাইদুল ইসলাম বাবুর (৩০) নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল আলম। এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ সামছুল ইসলাম সুরুজের ছেলে ও বর্তমান উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শওকত আলীর ভাতিজা ফারুক ইমরুল কায়েস।
যিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষের প্রার্থীর কাছে অল্প ব্যবধানে হারেন। এ ছাড়াও জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল হকও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। রফিকুল আলমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় অন্য দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আজ রোববার ঢাকা থেকে রংপুর হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রফিকুল আলম।
তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে তার অনুসারীরা সকালে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে গংগাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলা আ.লীগের কার্যালয়ের সামনে এলে মনোনয়ন বঞ্চিতদের অনুসারীরা তাদের পথ রোধ করে।
এতে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এসময় ভাঙচুর করা হয় ১০/১২টি মোটর সাইকেল। আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় আতঙ্কে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন দোকানিরা। গুলির শব্দও শোনা যায় বেশ কিছু। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, আতঙ্কের কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।