বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল ইসলাম ও ঈমান বিধ্বংসী শক্তিগুলো এক হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাদের এসব কার্যক্রম রুখে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি বলেন, ইসলামবিরোধী শক্তি সম্মিলিতভাবে মুসলমানের ঈমান ও আমলের উপর আঘাত করছে । কাদিয়ানীদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠা সেটারই একটি প্রমান বলে মনে করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরানো পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর এক জরুরী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদিকে যেভাবে কাদিয়ানী বা আহমদিয়া মুসলিম জামাত নামধারী সম্প্রদায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপরদিকে শিয়া, নাস্তিক-মুরতাদ গোষ্ঠী সরকারের ছত্রছায়ায় ইসলামের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
অধ্যক্ষ ইউনুস বলেন, মুসলমানের কাছে নিজ জান-মালের চেয়ে ঈমানের মূল্য অনেক বেশি। কাদিয়ানীরা রাসূল সা. কে শেষ নবী হিসেবে মানে না। সৌদী, মিশর, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশে কাদিয়ানীদেরকে সংখ্যালঘু বা অমুসলিম হিসেবে স্বীকৃত। কাদিয়ানীরা সর্বসম্মতভাবে কাফের। মুসলিম নাম, ইসলামী পরিভাষা ব্যবসহার করে সরলমনা মসুলমানদের ধোকা দিয়ে ঈমানহারা করছে। আমাদের দাবি হলো তারা অমুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করুক। কিন্তু তারা তা না করে নবী, রাসুল, খলিফা, ইমাম এবং মসুলিম নাম ব্যবহার করায় সাধারণ মুসলমান ধোকা খাচ্ছে। ৯২ ভাগ মুসলানের চিন্তা চেতনা বিরোধী যে কোন কর্মকান্ড সহ্য করা হবে না। কাজেই কাদিয়ানীদের পঞ্চগড়ের সম্মেলনও বন্ধ করতে হবে। নাস্তিক-মুরতাদদের আস্ফালন রুখে দিতে হবে।
জরুরী সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারি মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, শিক্ষা ও সংষ্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ। সভায় সংগঠন সম্প্রসারণে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।