পাবলিক ভয়েস: জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনাস্থা দিয়ে সরকার বদল করা যাবে না, শুধু নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব। তাই বিরোধী দলে ভূমিকা রেখে-রেখেই, জাতীয় পার্টি সাধারন মানুষের আস্থা অর্জন করবে। যাতে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে’।
আজ রোববার ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি কারও ‘পাতানো খেলায়’ অংশ নেবে না। সংসদে গৃহপালিত বিরোধী দল হতে যাবে না কখনোই। সংসদীয় গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় পার্টি প্রতিটি অধিবেশনে ভূমিকা রাখবে’।
টানা তৃতীয়বারের মতো আ.লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সাথে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এবার ২২টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। আসন সংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হওয়ায় এবারও জাতীয় পার্টি বসেছে প্রধান বিরোধী দলের আসনে।
পার্টির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই এবার মহাজোট সরকারে যোগ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু আ.লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার তার সরকারে শরিকদের কাউকে রাখেননি।
এ অবস্থায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঘোষণা দেন, তার দল এবার প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকাতেই থাকবে। আর তিনি নিজে হবেন বিরোধী দলীয় নেতা।
দশম সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির তিন নেতা আ.লীগ সরকারের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন। এ কারণে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ আখ্যা পেতে হয়েছে এরশাদের দলকে।
আজ রোববারের অনুষ্ঠানে জি এম কাদের বলেন, সংসদে ২২টি আসন পেলেও বিরোধী দল হিসেবে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে যাবেন।
‘সদস্য সংখ্যা কোনো বিষয় নয়, আমরা কতটা ভূমিকা রাখতে পারব সেটাই বড় কথা’।
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মাত্র আটটি আসন পাওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারচুপির অভিযোগ এনে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও দলের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।