পাবলিক ভয়েস: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক মামলার কারণে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়নি, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। তাই আইনের প্রক্রিয়া যতই আমরা বলি না কেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া তাকে মুক্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় রাজপথ উত্তপ্ত করা। যতদিন পর্যন্ত রাজপথ উত্তপ্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় জেল থেকে বের করা যাবে না। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র ও প্রহসনের নির্বাচন সব কিছুই বলা হবে কিন্তু সবার আগে থাকবে খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলন। তার মুক্তির বিনিময়ে যা কিছু দরকার রাজপথ উত্তপ্ত করে, আন্দোলন করে, সবকিছু করে তার মুক্তির ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাগরিক আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সভা সঞ্চালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতাদের প্রতি অনুরোধ করবো, আপনারা একটি মাত্র ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করুন, সেটা হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি। তিনি বলেন, আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে।
কারণ বর্তমান সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আইনের শাসন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় বের করতে পারবো বলে আমি আগেও বিশ্বাস করতাম না, এখনও বিশ্বাস করছি না।
তিনি বলেন, এখনও বিশ্বাস করি, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে তার মুক্তির ব্যবস্থা না করে আমরা নির্বাচনে গেছি গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর ভরসা করে। এটা কতটা সঠিক ছিল সেটা হয়তো ইতিহাস একদিন বিচার করবে।
দল ও জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আজকের সরকার প্রতারণা করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। বঙ্গবন্ধু বাকশাল করেছিলেন, আইন করে এক দল করেছিলেন।
এবার শেখ হাসিনা প্রহসনের ভোটে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছেন। আগামী নির্বাচন অতি শিগগিরই হবে। জনগণকে আশা-আকাঙ্খা থেকে বঞ্চিত করে কোনও সরকার, কোনও দল ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এ সরকারকেও সরে যেতে হবে।