সাব্বির আহমেদ, ববি: বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের বার্ষিক সাধারণসভা, নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা ২০১৯ ইং অনুষ্ঠিত। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা হলে সকাল ১১টা থেকেএ অনুষ্ঠান শুরু হয়। একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্নার বাঁধন এই স্লোগান সামনে রেখে বাঁধনের পথচলা।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. মুহসিন উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া, বঙ্গ বন্ধু হলের প্রভোস্ট রাহাত ফয়সাল, বাঁধনের উপদেষ্টা প্রভাষক ইশরাত জাহান লিজা (লোকপ্রশাসন), ড.মো: সিরাজীস সাদিক লোকপ্রশাসন) এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মণ্ডলী।
তিন পর্যায়ের এই অনুষ্ঠানে প্রথম ভাগে ছিল নবীনবরণ। এপর্যায়ে মাননীয় উপাচার্য ফুল দিয়ে নবীন বাঁধন কর্মীদের বরণ করে নেন। পরবর্তীতে একটি স্লাইড শো পরিদর্শনের মাধ্যমে বাঁধন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সাড়া বছরের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল দায়িক্ত হস্তান্তর অনুষ্ঠান। আগামী এক বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তৌফিক ওমর, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আজহারুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হক বলেন, বাঁধনের সৃষ্টি আমার হাতে। ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে যখন বাঁধনের সৃষ্টি হয়। তখন আমি ওই হলের প্রভোস্ট ছিলাম। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ।
জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র। সব মানুষের রক্তই এক। বাঁধন কর্মীরা কখনো মাদকাসক্ত হয় না। এসময় তিনি বাঁধনের জন্য একটি স্থায়ী রুম ও একটি ফ্রিজ করেদিবেন বলে আশাব্যক্ত করেন। উপাচার্য মহোদয়কে বাধঁনের পক্ষ থেকে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, বাঁধন কর্মীরা জাগতিক যেকোন স্বার্থের উর্ধে থেকে কাজ করেন।
বাঁধন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের উপদেষ্টা প্রভাষক ইসরাত জাহান লিজা বলেন, বাঁধন কাজ করে মমতাবোধ থেকে। ভালোবাসা থেকে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মুজাহিদুল ইসলাম। উল্লেখ, ৩০ শে মার্চ ২০১৪ সালে বাঁধন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়।