আকরাম হোসেন নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১০ নং শেরপুর ইউনিয়নের পাঁচরুখী বাজারে প্রবাসী আলমগীর হোসেন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (০১ অক্টোবর ২০২৫ ইং) সকালে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলমগীর হত্যাকাণ্ড একটি নৃশংস ও পরিকল্পিত ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানান তারা। বক্তারা আরও বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ঐ সময় উপস্থিত সকলেই শেরপুর ইউনিয়নকে মাদক মুক্ত করতে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরবর্তীতে যেন আলমগীরের মতো অন্য কারো সাথে এরকম গৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন আলমগীরের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী সহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—মৌঃ আবু সাঈদ, মৌঃ ইলিয়াসুর রহমান, মোঃ সোহেল তাজ ভেন্ডার, হেলাল উদ্দিন বেলাল, জালাল আহম্মেদ, মৌঃ অলি উল্লাহ সাহেব, সাদ্দাম হোসেন, নিহতের ভাগনী তানিয়া আক্তার, বোন সীমা আক্তার, ভাই শাহ আলম এবং মা মনোয়ারা বেগম।
উল্লেখ্য যে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে গরুকে খাবার দেওয়ার পর আলীম মাকে বলে যান, একটু বাহির থেকে আসছি।’ এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের দু'দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্থানীয় বাফাইল বিলের পাশে আলীমের পরনের কাপড় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পরদিন শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সংগ্রামকেলি বাজার সংলগ্ন একটি ডোবার পাশের বাঁশঝাড়ের নিচে মাটিচাপা অবস্থায় বস্তার ভিতর মরদেহটি পাওয়া যায়।এই ঘটনায় নিহতের মা মনোয়ারা বেগম (৫৫) বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং বলেন ১ জন প্রকৃত দোষী আব্দুল খালেকের নাম বাদ রয়েছে দারগা আমার দায়ের করা অভিযোগ ছিড়ে পেলে দিয়া দারগার মতে লেখেছে। যার প্রেক্ষিতে উক্ত মামলার প্রধান আসামি মাসুদ মিয়া এবং ইমাম হোসেন রতনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় এবং সর্ব সাধারণের পক্ষ থেকে- এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার সহ বিচারের মাধ্যমে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে কঠোর আন্দোলন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে নিহত আলমগীরের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।