আকরাম হোসেন নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইল বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (আরবি) আবুল আনসার মোঃ গোলাম আজম প্রায় ৮ বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী । মাদ্রাসায় ক্লাস করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে আবুল আনসার মোহাম্মদ গোলাম আযমের পক্ষে ।সহকারী অধ্যাপক আবুল আনসার মোহাম্মদ গোলাম আজম ৭ থেকে প্রায় ৮ বছর ধরে অসুস্থতার কারণে যেতে পারছেন না মাদ্রাসায় ক্লাস করাতে পারছেন না। নিয়মিত মাদ্রাসায় যেতে না পারলেও বেতন উত্তোলন করছেন প্রতিমাসে। মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মাসে ১ দিন মাদ্রাসায় আসেন এবং হাজিরা খাতায় ১ মাসের স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান। নান্দাইল বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসায় সরজমিনে গিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায় সহকারী অধ্যাপক আবুল আনসার গোলাম আজম দৈনিক মাদ্রাসায় আসেন না, ক্লাস নেন না এবং গোলাম আযম হুজুরকে চিনে না বলে জানায়। মাদ্রাসার শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা যায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেন্বর ২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত স্বাক্ষর নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আসাদুল্লাহ সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তিনি বলেন, গোলাম আজম দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী। মানবিক কারণে তাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন । তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ৩ দিন আগে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস নান্দাইল ও এডহক কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছেন বলে জানান। সহকারী অধ্যাপক (আরবি) আবুল আনসার মোঃ গোলাম আযমের দীর্ঘ সময় ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত এ বিষয়টি এর আগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানানোর কারণ জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এভাবে সহকারী অধ্যাপক আবুল আনসার গোলাম আজম ৮ বছর ধরে মাদ্রাসা উপস্থিত না থেকেও মাসিক বেতন ভাতা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া এ প্রতিনিধিকে জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং ঊর্ধাতন মহলে জানানো হবে । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার জানান বিষয়টি তিনি তদন্ত করে ব্যবস্হা নিবেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা জানান আবুল আনসার গোলাম আজমকে শোকজ করা হয়েছে এবং যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়া হবে।