স্টাফ রিপোর্টার: নূর মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন—জুলাই অভ্যুত্থানে জনগণ রক্ত দিয়েছে সংস্কার, বিচার ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ এখন সংস্কার ও বিচারকে উপেক্ষা করে কেবল নির্বাচনের আয়োজনের চেষ্টা চলছে, যা দেশকে আবারও পুরোনো অশুভ চক্রে ঠেলে দেবে।
সোমবার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জুলাই সনদ এখনো আইনি ভিত্তি পায়নি। মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য হয়নি, বরং বিভিন্ন প্রস্তাব বাতিলযোগ্য করে রাখা হয়েছে। ফলে অভ্যুত্থানের মূল প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তিনি মনে করেন, সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে এখনই জুলাই সনদকে আইনসম্মত করতে হবে এবং তার ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের অপরাধ সংগঠিত মাফিয়াচক্রের মতো হলেও বিচারের গতি হতাশাজনক। বিদেশে পালিয়ে থাকা মূলহোতারা এখনো চক্রান্ত করছে, আবার স্থানীয় পর্যায়ে ফিরেও আসছে। তিনি বলেন, বিচার জেলা পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে এবং বাইরে থাকা অপরাধীদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের দোসর উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারকে শক্তিশালী করেছে। অথচ এখনো তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদের সব সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী দল যুগপৎ আন্দোলনে নামছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে এবং তা ধীরে ধীরে আরও কঠোর হবে।
ঢাকায় ১৮ সেপ্টেম্বর সমাবেশ ও মিছিলের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হবে। পরদিন বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশের জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।