আকরাম হোসেন নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা গত মঙ্গলবার নান্দাইল মডেল থানায় ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।এঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হতদরিদ্র ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবার।
মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের উন্দাইল গ্রামের মো.মামুন মিয়া (২৫), মো.মমিন উদ্দিন (২৩), মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৪), মো. শাকিল মিয়া (২৩)।স্হানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে- ভোক্তভোগী কিশোরী উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি এলাকার ম্যাজিক গার্মেন্টসে চাকুরী করে। গামেন্টসে আসার সুবাদে মো.মামুন মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হলে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে৷ গত ১৮ জুলাই রাত সাড়ে আট টার দিকে গার্মেন্টস ছুটি হলে প্রেমিক মো.মামুন মিয়া ও তার সহযোগীরা কিশোরীকে রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর কথা বলে অটোরিকশা করে কৌশলে গাংগাইল ইউনিয়নের উন্দাইল এলাকায় কলা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক মো.মামুন মিয়া ও তার সহযোগী মমিন উদ্দিন,জাহাঙ্গীর আলম পালাক্রমে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে সহায়তা করে আরেক সহযোগী শাকিল মিয়া।এদিকে ঘটনার পর পরেই স্থানীয় ধানের ব্যবসায়ী তফাজ্জল হোসেন ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে। এবং চাপ প্রয়োগ করে ভুক্তভোগীর পরিবারের উপর থানায় অভিযোগ না দেওয়ার জন্য। স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদ হাসান রকি বলেন- আমাদের পুকুর পাড়ে কলা বাগানে এঘটনা ঘটেছে। আমি টর্চলাইট নিয়ে বের হয়ে কলাবাগানে গিয়ে দেখি মামুন, জাহাঙ্গীর, মমিন মেয়েকে রেখে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দিছে। পরে বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানাই।ধর্ষণের শিকার কিশোরী বলেন- রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর কথা বলে মামুন ও তার সহযোগীরা আমাকে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আমি বাঁধা দিতে চাইলেও আমাকে মারধর করে।ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন- আমি খুবই গরিব মানুষ।মেয়েটা গার্মেন্টসে চাকুরি করে।আমার মেয়েটার এত বড় ক্ষতি করছে,আমি এর বিচার চাই।আমি কেন থানায় মামলা করছি এজন্য আমাকে হুমকি দিচ্ছে আসামীরা।অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সততা পাওয়া গেছে,আসামিদের দ্রত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।