আকরাম হোসেন নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
স্বামীর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের একটি কোম্পানির আর্থিক অনুদানের টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টায় স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ওয়ারিশান সনদ জাল করার অভিযোগ করেছেন এক বিধবা নারী। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর দাবি, তাকে ও তার দুই মেয়েকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের মহাবৈ গ্রামের মোছাঃ চাঁদনী (৩৩), স্বামী মৃত রাজীব মিয়া ওরুফে (হিরো আলম) —একটি লিখিত অভিযোগে জানান, তার স্বামী চাকরির সুবাদে সৌদি আরবে অবস্থানকালে গত ২ জুন ২০২৫ ইং তারিখ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান—সিনথিয়া আক্তার (১২) ও উম্মে হাবিবা (১০)—কে রেখে যান।
অভিযোগে চাঁদনী উল্লেখ করেন, তার স্বামীর আপন দুই ভাই—মোঃ তারেক মিয়া (৪৫) ও মোঃ আরিফ মিয়া (৪২)—পরস্পর যোগসাজশে এবং আরও কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে একটি জাল ওয়ারিশান সনদ তৈরি করে। এতে চাঁদনীর দুই কন্যার নামও বাদ দেওয়া হয়। এবং চাঁদনীর স্বাক্ষর জাল করা হয়। ওই সনদ সংগ্রহ করা হয় গত ৪ জুন ২০২৫ ইং তারিখে সিংরইল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।
ঘটনার পর চাঁদনী বিষয়টি জানতে পেরে তাদের জবাবদিহি করলে, ৭ জুলাই রাত ১১টার দিকে অভিযুক্তরা আরও কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ চাঁদনীর ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা তাকে ও তার সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
চাঁদনী বলেন, "আমার স্বামী বিদেশে পরিশ্রম করে সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য টাকা রেখে গেছেন। এখন তারই ভাইয়েরা আমার সন্তানদের সম্পূর্ণ বঞ্চিত করতে চাইছে। আমার জীবন এখন নিরাপদ নয়। আমি প্রশাসনের কাছে সুবিচার চাই।"
এই ঘটনায় বিষয় সরজমিনে স্থানীয় গ্রামবাসী সহ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করিলে অনেকেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এবং অভিযুক্তদের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখিত ঘটনায় অসহায় চাঁদনী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, "আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"