ইসমাঈল আযহার: চারপাশের মানুষ ও প্রকৃতি কতটা বদলে গেছে। সবখানে মনভাঙা আর বিষন্নতার করুণ সুর। সবার কাছে শুধু অধিকারের অপব্যবহার। ক্ষমতা পেলেই সবার চেনা রূপ বদলে যায়। মানুষই সিলেক্ট করে রাষ্ট্রের অধিপতিদের। কিন্তু আসন পেয়ে তারা সাধারণ মানুষদের ওপর হামলে পড়ে। গিলে খেতে চায়।
কেউ কথা বললে কণ্ঠনালী চেপে ধরে, ধামিয়ে দেয়। সবখানে একই দৃশ্য। ধূসর ধুসর আর ধূসর। চারিদিক বিবর্ণ। কষ্ট কষ্ট আর কষ্ট দিয়ে ভরা শুধু। কতভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। চোখের সামনেই কত আপনজন ছেড়ে চলে যায়, নিজ হাতে দাপনসম্পন্ন করার পরও মানুষের হুশ ফেরে না।
লড়াই লড়াই আর লড়াই। কতকিছুর জন্যই না মানুষ লড়াই করে, করতে হয়। কেউ লড়াই করে বেঁচে থাকার জন্য। শান্ত ও শান্তির সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের দেশটা একেবারেই অযোগ্য। কিছু মানুষের হাহাকার শুনি। তারা মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করে।
মৃত্যুই যেন শান্তির দুয়ার। এখানে প্রবেশ করলে সমস্ত অশান্তি থেকে যেন মুক্তি মেলে। যদিও তারা কেউ কেউ পরকালের পাথেয় সঙ্গে নিয়ে যায় না। অথবা যায়। তাদের কেউ হয়ত কখনও সেই জীবনের কথা ভাববার সময়ই পায় না।
এক সময় ক্ষুধার অন্ন যোগাতে আর সংসার নামক কষ্টের ঘানি টেনেই তাদের জীবনের সমাপ্তি হয়। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই আজীবন সুখ নামক হরিণের পেছনে ছুটে বেড়ায়। কিন্তু জীবনের পরিসমাপ্তিতে তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় শান্তি কী?
তারা বোধ হয় বলতে পারবে না। কত চিন্তা, কত হতাশা, কত স্বপ্ন, কত প্লান-পরিকল্পনা, মাত্র এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায় সব। যত ক্ষমতা, অহংকার, দম্ভ- সব। খুবই ভয়াবহভাবে সব ধ্বংস করে দেবে মৃত্যু। চূর্ণ করে দেবে সব। কিছুই আর থাকবে না।
ধনী গরীব সবার পরিণাম একই হবে। আখের সবার প্রাপ্তি একই। কেউ তার থেকে বেশি কিছু নিয়ে যেতে পারবে না। তবু আমরা নিজের মধ্যে কত কত পার্থক্যের দেয়াল তুলে দিয়েছি। কে সফল, কে ব্যর্থ তার হিসেব যারা দুনিয়াই কষে তারা নিতান্তই বোকা।
বিচার-দিবসে প্রমাণিত হবে- কে সফল আর কে ব্যর্থ। যাদের বাম হাত বুক ফেঁড়ে পেছন থেকে বের করে আমলনামা দেওয়া হবে তারা নিঃসন্দেহে ব্যর্থ, অকৃতকার্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।
সহ-সম্পাদক পাবলিক ভয়েস
আইএ/পাবলিক ভয়েস