পাবলিক ভয়েস: সাতক্ষীরায় একদিন যেতে না যেতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে তালা উপজেলায় আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কার নাম আগে যাবে এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবারের ঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার তালা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বেলা ১১টায় জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে দলের বর্ধিত সভা শুরু হয়।
আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, চেয়ারম্যান পদে আমরা তিনটি নাম সিলেকশন করে চেয়ারম্যান পদের বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন। ওই ছয় প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইকতিয়ার উদ্দিন ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সরদার মশিয়ার রহমান সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়।
দুই প্রার্থী দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থক। কার নাম প্রথমে লিখে কেন্দ্রে পাঠানো হবে এটি নিয়েই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তুমুল হট্টগোলের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা ভণ্ডুল হয়ে যায়।
সংঘর্ষের বিষয়ে তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সব কিছু ভোটে ছেড়ে দিলে এমন ঘটনা ঘটতো না।
এ বিষয়ে তালা থানা পুলিশের ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করা হয়। কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন ভোটাভোটির মাধ্যমে হবে কি হবে না এই বিতর্কের জেরে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম টানা কয়েকঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে আজ রোববার ভোটাভোটি হবে এ ঘোষণা দেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে আজ রোববার আবারও উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়ে যায়।