ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
দেশের আলেম সমাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোসারাত জাহানের মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায়। মুনিয়াকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দিনের পর দিন দেহ ভোগ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। এমনই দাবি করেছেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান।
এ ঘটনায় ওয়াজ মাহফিল ও ইসলামি বিভিন্ন আয়োজনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা তথাকথিত নারীবাদীদের মুখ খুলতে দেখা যায় নি।
এজাহার থেকে জানা গেছে, মুনিয়া মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। দুই বছর আগে মামলার আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে মোসারাতের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন এবং সব সময় মোবাইলে কথা বলতেন। আনভীরের সঙ্গে মুনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
দুই বছর আগে মুনিয়াকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাজধানীর বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আনভীর। সেখানে দুজনে বসবাস করতে শুরু করেন। এক বছর পরই আনভীরের পরিবার এক নারীর মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে।
পরে তার মা তাকে ডেকে ভয়ভীতি দেখান এবং মুনিয়াকে ঢাকা থেকে চলে যেতে বলেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে সায়েম সোবহান আনভীর মুনিয়াকে তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন এবং পরে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন।
সায়েম ও মুনিয়ার একটি ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সায়েমকে খুব বাজেভাবে গালাগালি দিতে শোনা গেছে মুনিয়াকে। ৫০ লাখ টাকা চুরির কথা বললে মুনিয়া কান্নারত কণ্ঠে বলছেন, আমাকে এমন অপবাদ দিয়েন না।
মুনিয়া অন্তঃস্বত্তা ছিলেন কিনা সে প্রশ্নও ওঠেছে। তার ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর অনেক প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ঘটনায় মিডিয়াগুলোর রিপোর্টে বলা হচ্ছে, একজন শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী/একটি শীর্ষস্থীয় ব্যবসায়ী গ্রুপের এমডির প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার সঙ্গে। আনভীরের নাম সবার সামনে চলে আসার পরও মিডিয়াগুলোর তার নাম নিচ্ছে না। এতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অপরাধটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এটাকে অপচেষ্টা হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
আরও পড়ুন-
তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ‘বসুন্ধরা’র এমডির বিরুদ্ধে মামলা
বিয়ে ছাড়াই মুনিয়ার ফ্ল্যাটে নিয়মিত যেতেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি
‘হুজুর হলে সায়েমের বিরুদ্ধে হুমড়ি খেয়ে পড়তো মিডিয়াগুলো’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ পাবলিক ভয়েসের ফেসবুক পেজেও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশ্ন, যদি সায়েম সোবহান আনভীর হুজুর হতো তাহলে মিডিয়াগুলো একযোগে লেগে পড়তো। হুজুর নয় বলে সায়েম ও তার অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়াগুলোর মাথা ব্যথা নেই।
আইএ/